রানা প্লাজা ধসে হত্যা মামলা: স্থগিতাদেশ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি





রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিসাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় বুধবার (২১ আগস্ট) সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ অবস্থায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিমল সমাদ্দার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বুধবারও আদালতে সাক্ষী হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় বিচারক সাক্ষ্য নেননি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে ৯ তলা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ১ হাজার ১৩৬ জন মারা যান। আহত হন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় সাক্ষী করা হয় ৫৯৪ জনকে।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই এ হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
আসামিদের কয়েকজন হলো রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল।