কৃষিযন্ত্রের দাম নয়, মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সভা

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দ্রুততার সঙ্গে কোন এলাকায় কোন যন্ত্রের কত চাহিদা তা জানাতে হবে কৃষি কর্মকর্তাদের। মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চিত্র মূল্যায়নের কাজ ও এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। আমাদের জমির আকার ও মাটির ভিন্নতা রয়েছে। আমাদের মাটি ও জমির উপযোগী কৃষিযন্ত্র কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কৃষিযন্ত্রের ক্ষেত্রে দামের দিকে গুরুত্ব নয় বরং মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’

বুধবার (২১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে মাঠ পর্যায়ের এ সক্রান্ত তথ্য উপাত্ত জমা দেয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদার ভিত্তিতে কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। ভালো টেকসই মেশিনের দাম বেশি হলে সেটাই গ্রহণ করা হবে। কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের জন্য সহজ কিস্তি সুবিধা দেওয়া যায় কিনা তাও দেখতে হবে। কাজটা কঠিন, তবে সততার সঙ্গে করলে সম্ভব। যন্ত্র মেরামতকারী ও  ব্যবহারকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি কোম্পানির যন্ত্রই পরীক্ষা করে মাঠে নামাতে হবে। মানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে কিনা তাও দেখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘কৃষককে কীভাবে লাভবান করা যায়, তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। গুণগতমান ও যন্ত্রের আকার একটা বড় ব্যাপার।’

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, ড. মো. আব্দুর রউফ, বিএডিসি’র চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্পের বিষয় উপস্থাপন করেন কৃষি প্রকৌশলী শেখ মো. নাজিম উদ্দিন।