রাজধানীর বাড্ডায় জেএমবি’র ৪ সদস্য গ্রেফতার



গ্রেফতার জেএমবি’র ৪ সদস্যরাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২১ আগস্ট) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো জেএমবির সক্রিয় সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে ইউসুফ (২৮), আলমগীর হোসেন (৩০), মহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহ (২২) ও হারুন-অর-রশিদ (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণের ৭টি বই, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি নোটবুক, ২টি ল্যাপটপ, ১টি কিবোর্ড, ৭টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড এবং নগদ ২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব গোয়েন্দারা সূত্রে খবর পান, জেএমবি কিছু সক্রিয় সদস্য নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশে উত্তর বাড্ডা এলাকায় জড়ো হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম ওরফে ইউসুফ জানায়, ১৯৯২ সালে ফরিদপুরে জন্ম তার। ২০০৯ সালে দাশেরহাটি কওমি মাদ্রাসা থেকে হাফিজি শেষ করেছে। ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় হেফজ শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেছে। রাজীব নামের এক জেএমবি সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত হয়। তারা নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশে নাঈম, রাসেল, ইমন, রায়হান, জহিরসহ আরও দু-তিনজন জঙ্গি সদস্য একত্রে টঙ্গী কলেজ গেট এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। মাসখানেক পরে নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা পরিবর্তন করে সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন বাসা নেয়। তার মাধ্যমে বেশ কয়েকজন জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
আলমগীর হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার জন্ম ১৯৯০ সালে, কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে। ২০০৩ সালে হাফেজি এবং ২০১০ সালে মুফতি পাস করে। ২০১১ সালে দাওরা হাদিস পাস করে। তারপর সে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ২০১১-১২ সালে মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানির মাদ্রাসায় পড়াশোনা ও চাকরি করার সময় উগ্রবাদে আকৃষ্ট হয়। পরবর্তীতে মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানি গ্রেফতার হলে আলমগীর আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলাম ওরফে ইউসুফের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে জেএমবিতে যোগ দেয়। এরপর অন্য সদস্যদের সঙ্গে সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা ও দাওয়াতের কাজ করতো।
মহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ১৯৯৬ সালে বাগেরহাটে তার জন্ম। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। আলমগীর ও রফিকুলের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৯৯১ সালে ঢাকায় তার জন্ম। ২০০৮ সালে হাফেজি এবং ২০১৭ সালে মাওলানা হয়। ২০১৮ সালের শেষের দিকে ঢাকায় একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেয়। ২০১৯ সালে আলমগীর ও রফিকুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মাধ্যমে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।