ঢাকার শিশু হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরিয়ান বিকালে মারা যায়। রাত সাড়ে ৯টায় যখন মাহতাব আলী শেখের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনি সন্তানের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। জানালেন গ্রামের বাড়িতেই আরিয়ানকে কবর দেওয়া হবে।
কবে থেকে আরিয়ান অসুস্থ জানতে চাইলে মাহতাব আলী জানান, গত শনিবার রাত থেকে আরিয়ানের জ্বর। পরদিন রবিবার রক্ত পরীক্ষার জন্য তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। রিপোর্ট দিলে দেখা যায় আরিয়ানের ডেঙ্গু পজিটিভ। সেদিনই আরিয়ানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে চার দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা জানান, ‘বাচ্চার অবস্থা সিরিয়াস, আপনারা আইসিইউতে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’
এরপরই আরিয়ানকে ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ বিকালে সে মারা যায়।
মাহতাব বলেন, ‘দৌঁড়ে আসার পর ডাক্তার বললেন, আরিয়ান যেকোনও মুহূর্তে চলে যেতে পারে, তারে রাখার মতো কোনও পরিস্থিতি নাই। ডাক্তার এ কথা বলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ছেলেটা চলে গেল, আমার ছেলেটা আমার কোলে উঠতে চাইছিল, ছেলেটাকে কোলে নিতে পারলাম না, আর কখনও পারবো না। ছেলেকে বলছিলাম, সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কিছুই ঠিক হলো না’, কাঁদেন মাহতাব আলী।
ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে দেওয়া আরিয়ানের ডেথ সার্টিফিকেটে দেখা যায়, আরিয়ান ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ছিল।