আদালতে ড. ফরিদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সীমন্তী আহমেদ। পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন অনুসারে কেবল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্টাফকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তবে যাকে ছুটিতে পাঠানো হবে তিনি চাইলে চ্যান্সেলরের কাছে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কাউকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নাই। অথচ ২০১৭ সালের ১২ জুলাই সিন্ডিকেট ড. রুশদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠান। পরের দিন একটি চিঠির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার এ বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘১২ জুলাই থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপনাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হলো। বাধ্যতামূলক ছুটিকালীন আপনাকে বিভাগীয় সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে।’
পরে ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ড. ফরিদী কোন কর্তৃত্ব বলে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তা জানতে চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ২০ জুলাই হাইকোর্টে তিনি রিট দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে ড. ফরিদীকে নিজ বিভাগে ফেরার বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। এর ফলে রুশদ ফরিদীকে সিন্ডিকেটের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত অবৈধ হওয়ায় তার দায়িত্ব পালনে আর বাধা থাকছে না।’