এদিকে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এবার বাজেটে মশা নিধন, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। মশা নিধনে পাঁচ বছরব্যাপী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নতুন ওয়ার্ডের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসির ২০১৯-২০ অর্থবছরে মশা নিধনের বাজেট ২৬ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ৯০০ কোটি টাকা, পরিবেশ উন্নয়ন খাতে ১৭১ কোটি টাকা, কবরস্থান উন্নয়ন খাতে ১০০ কোটি টাকা, কর্মচারীদের প্রতিদান (বেতন, ভাতা ও অন্যান্য) বাবদ ৩৫০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ জ্বালানি, পানি ও অন্যান্য বাবদ ৭৪ কোটি, আশ্রয়ণ ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণে ২০ কোটি টাকা, মুজিব বর্ষ উদযাপন খাতে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেটে নিজস্ব আয় থেকে এক হাজার কোটি টাকা, সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট তহবিল থেকে দুই হাজার ৬৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, গত ১৬ জুন সংস্থাটির বাজেট ঘোষণার নির্ধারিত দিন ধার্য ছিল। সে অনুযায়ী কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে গঠিত অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটি প্রায় তিন হাজার ৭০৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার খসড়া বাজেট তৈরি করে। মেয়রের নেতৃত্বে সংস্থার বিভাগীয় প্রধানদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি বৈঠকে খসড়ায় সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়। কিন্তু ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে তখন বাজেট ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
তবে অর্থবছর পেরিয়ে গেলেও অনুমোদন ছাড়া গত দুই মাস কিভাবে অর্থ খরচ করা হয়েছে জানতে চাইলে সংস্থাটির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. খাদেমুল করিম ইকবাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জেনারেল ফাইন্যান্স রুলস অনুযায়ী যদি সিটি করপোরেশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজেট দিতে না পারে তাহলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বাজেট করে দেবে। তাও না হলে, পূর্ববর্তী অর্থবছরের সর্বশেষ মাসে পরিশোধিত বেতন ভাতা ও অন্যান্য দাবির প্রেক্ষিতে অত্যাবশ্যকীয় ব্যয় করতে পারবে। আমরা সেই রুলস অনুযায়ী করপোরেশন চালিয়েছি।
তিনি বলেন, এ বছর আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছি। সে কারণে বাজেট ঘোষণায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
এদিকে ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মেয়র দেশে ফিরলেই বাজেট ঘোষণার তারিখ ঠিক করা হবে।