তুলা আমদানিতে ফিউমিগেসন চার্জ কমানো হবে: কৃষিমন্ত্রী

Image

তুলা আমদানিতে ফিউমিগেসন চার্জ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, তুলা আমদনির পর এর সঙ্গে কোনও রোগ-জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য বন্দরে ফিউমিগেসন করতে হয়, এজন্যও আমদানিকারকদের চার্জ দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি করার সময় একবার ফিউমিগেসন করা হয়। সেই তুলা দেশে আনার পর আবার ফিউমিগেসন করা হয়। এতে খরচ বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ ব্যবস্থাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। তাই দেশের কল্যাণে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব ফি কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিসকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারিখাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএম) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, ফিউমিগেসন ফি প্রতি বেলে ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। তুলা আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি পয়েন্টে চার্জ ক্ষেত্র বিশেষে ১০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটা ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে প্রভাব ফেলবে, তাই এসব ফি কমানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সোনালী আঁশ পাট রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রার আয় অনেক কমে এসেছে। এখন তৈরি পোশাক রফতানি করে রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ অর্জন হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের দেশে কাপড় তৈরির কাঁচামাল তুলা চাষ করি না। তাই তুলা আমদানি করতে হয়। তুলা আমদানি করার সময় তুলার সঙ্গে পোকামাকড় বা রোগজীবাণু আসছে কিনা সেটা দেখতে হয় কৃষি মন্ত্রণালয়কে।