সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী তানির মৃত্যুর বিচার দাবি

সাবেক ঢাবি শিক্ষার্থী তানি মৃত্যুর বিচার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষার্থী খায়রুন্নাহার তানি চিকিৎসকের ভুলে মারা গেছেন দাবি করে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তার স্বজন ও বন্ধুরা। শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন করে বিচার দাবি করেন তারা। সচেতন নাগরিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে এই মানববন্ধনটি পালিত হয়।

নিহত খায়রুন্নাহার তানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি ফরিদপুর হালিমা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী ছফওয়ান করিম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী।

মানববন্ধনে তানির আত্মীয়রা দাবি করেন, ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ও সংশ্নিষ্টদের অবহেলা এবং সিজার বাণিজ্যের বলি হয়ে তানির মৃত্যু হয়েছে। তানির সিজার অপারেশনকারী হাসপাতালের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. দিলরুবা জেবার ভুল চিকিৎসায় তানির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

মানববন্ধনে তানির স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী ছফওয়ান করিম বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট ওই হাসপাতালের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. দিলরুবা জেবা আমার স্ত্রীর সিজার অপারেশন করেন। কিন্তু সিজার অপারেশনে কৃত ভুলের কথা প্রকাশ না করে তিনি তানির শরীরে একের পর এক ইনজেকশন পুশ করতে থাকেন। গত ৩০ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টায় আমার স্ত্রীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। রাত আড়াইটার সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তার ও নার্সদের অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ কেবিনে আসেনি। ৩১ আগস্ট ভোর আনুমানিক ছয়টার দিকে ডা. দিলরুবা হাসপাতালে আসেন এবং তানির শরীরে বেপরোয়াভাবে ইনজেকশন পুশ করতে থাকেন। এতে সকাল সাতটা ১০ মিনিটের সময় আমার স্ত্রী মারা যান।’

ঢাবি শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান শুভ বলেন,  ‘বাংলাদেশে সিজার বাণিজ্যের বলি হয়ে অনেক মৃত্যু হচ্ছে। ডাক্তারদের থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। আমরা তানি আপুর মৃত্যুর বিচার দাবি করছি।