গণপূর্তের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকলে বিশেষ অতিথি সংসদীয় কমিটির সভাপতি





Untitledগণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থাগুলোর কোনও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে বিশেষ অতিথি করতে হবে। আমন্ত্রণপত্রে বিশেষ অতিথি হিসেবে তার নামও লেখা থাকতে হবে।
সম্প্রতি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা রাজউকসহ সব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতরে পাঠানো হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কমিটির পঞ্চম বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি চট্টগ্রাম-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, দবিরুল ইসলাম, বজলুল হক হারুন, মো. জিল্লুল হাকিম, এ কে এম সেলিম ওসমান, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও আনোয়ারুল আশরাফ খান।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোতাহার হোসেনের সই করা চিঠিতে সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে বিশেষ অতিথি করার বিষয়টি নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সভাপতি ছাড়াও কমিটির বাকি সদস্যদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর কথা এতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত কমিটির চতুর্থ বৈঠকে মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হলে বিশেষ অতিথি হবেন সভাপতি, আমন্ত্রণপত্রের যথাস্থানে তার নাম সন্নিবেশ করাসহ কমিটির সব সদস্যকে আমন্ত্রণ করার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ রকম কোনও নির্দেশনার বিষয়টি আমার নলেজে নেই। সংসদীয় কমিটি কোনও সুপারিশ করতে পারে, কিন্তু তা মানতে হবে— এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা অনুষ্ঠানে সংসদীয় কমিটির সভাপতিকে সম্মান দিয়ে বিশেষ অতিথি করে থাকি এবং কার্ডেও তার নাম থাকে। কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমরা সেটা করেছিও।’ তবে বিশেষ অতিথি করতেই হবে এমন কোনও বিষয় নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।