অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে এফবিআই’র সহযোগিতা চায় দুদক


অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশসহ (এফবিআই) বিভিন্ন দেশের এ জাতীয় সংস্থার সহযোগিতা চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আবাসিক উপদেষ্টা এরিক অপেঙ্গার সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে দুদক চেয়ারম্যান এ সহযোগিতা চান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যদি আমেরিকায় অর্থ উপার্জন করে গাড়ি-বাড়িসহ সম্পদ গড়ে তোলে, তা নিয়ে দুদকের কোনও মাথাব্যথা নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি অবৈধভাবে অর্থপাচার করে আমেরিকা বা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে সম্পদ গড়ে তোলে তাহলে তা দুদক আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআই-এর সঙ্গে দুদকের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করছে তারা।
এফবিআই-এর সঙ্গে দুদক সমঝোতা স্মারক সই করবে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এজন্য যোগাযোগ অব্যাহত আছে। দুদক প্রত্যাশা করে দুর্নীতিসংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত, বিশেষ করে মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেন তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক অ্যানালাইসিস, ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ও তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাস্টিস ডিপার্টেমেন্টের সহযোগিতা আরও বাড়বে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে অর্থপাচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা জরুরি। দুদক এনবিআরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে চায়। এজন্য চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করা গেলে অর্থপাচারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠকে এরিক অপেঙ্গা দুদকের বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, প্রতিরোধ অনু বিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং আইসিটি ও প্রশিক্ষণ অনু বিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল।