দাবি না মানলে আমরণ অনশন

বিআরডিবি প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনদাবি মানা না হলে আমরণ অনশন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতারা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- আয় থেকে দায় পরিশোধ পদ্ধতি বাতিল করে বিআরডিবির প্রকল্প বা কর্মসূচিতে কর্মরতদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর বা আত্মীকরণের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা, প্রকল্পের সব কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে বিআরডিবিকে বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদফতরে রূপান্তর করা।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ দাবিগুলো না মানলে ১ অক্টোবর থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করা হবে বলে তারা জানান।

ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিআরডিবির বাস্তবায়নাধীন ১৯৯৭ সালের আগে গৃহীত প্রকল্পে প্রায় ৮ হাজার জনবল রয়েছে। যারা মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় বিআরডিবির নাম পরিবর্তন করলে যেমন সচ্ছতা আসবে, একইসঙ্গে কাজের গতি ফিরে পাবে।’

সংগঠনটির নেতারা জানান, সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে তারা  দীর্ঘদিন ধরে ঋণ বিতরণ করছেন। তৃণমূল পর্যায়ে অনেক অসহায় গরিব মানুষ এখন স্বাবলম্বী। ঋণের মাধমে গরিব মানুষের ভাগ্য বদল হলেও এ প্রকল্পে কর্মরতদের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্পে নিয়োগ দেওয়ার সময় নিয়োগ পদের প্রোফাইলে বলা হয়েছিল, রাজস্বখাতে স্থানান্তরের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ী করা হবে। ২০০১ সালের পর থেকে আজ  পর্যন্ত চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এর বিপরীতে কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানোর জন্য বলা হয়। যেসব ঋণের সুদ হার ২২ শতাংশ। এখন স্থানীয়রা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চান না, এসব ঋণের সুদ থেকে বেতন সম্পন্ন হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে বিআরডিবি প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম ও শারমিন সুলতানাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।