বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবা‌দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবিতে) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’,  ‘ভাই এর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘এক দুই তিন চার দালাল ভি‌সি গ‌দি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের বিষদাঁত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ সহ বি‌ভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর ভিপি ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘আজকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অরাজকতা চলছে। আমরা জানি ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে যে সরকারই ক্ষমতা এসেছিল তারাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র আন্দোলন দমাতে লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি চালু করেছিল। কিন্তু তাতে যখন আন্দোলন দমাতে পারছে না, তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দলদাস, অনুগতদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে শুরু করলো। এদের কথাবার্তাও অস্বাভাবিক ও অশিক্ষকসুলভ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শিক্ষার্থীদের ‘বাছুর’ বলে সম্বোধন করেছেন। এরকম একজন ভিসিকে দিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। এধরনের দলদাস, অনুগতদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে এর ফল ভালো হবে না।’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল  মামুন বলেন, ‘ আমরা ছাত্রসমাজ বশেমুরবিপ্রবির এই নিলর্জ্জ উপাচার্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে আমরা সে হামলার প্রতিবাদ জানাই। প্রয়োজনে আমরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো এবং তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ অন্য ছাত্রনেতারা।