ক্যাসিনোর পাশাপাশি স্পা সেন্টারেও পুলিশের অভিযান





পুলিশের অভিযান চালানো একটি স্পা সেন্টারের কক্ষরাজধানী বিভিন্ন এলাকায় ক্যাসিনোর পাশাপাশি স্পা সেন্টারেও অভিযানে নেমেছে পুলিশ। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর গুলশানে নাভানা টাওয়ারের ৩টি স্পা সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেগুলোকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, স্পা বা সেলুনের আড়ালে যৌন ব্যবসার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
স্পা সেন্টার ৩টি  হলো— লাইফ স্টাইল অ্যান্ড হেলথ ক্লাব, রেসিডেন্ট সেলুন অ্যান্ড স্পা এবং ম্যাংগো স্পা।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব স্পা সেন্টার থেকে ১৬ জন নারী ও তিন পুরুষকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছি। এখন পর্যন্ত নাভানা টাওয়ারের ১৮, ১৯ ও ২০তম ফ্লোরে ৩টি স্পা পেয়েছি, যেগুলোতে স্পা বা সেলুনের আড়ালে যৌন ব্যবসা চলতো।’



তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, এখানে আগত গ্রাহকদের সঙ্গে স্পার আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতো আটক ১৬ নারী। আর তাদের পরিচালনা করতো আটক ৩ পুরুষ।’ 

৮৮৮পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আটকদের থানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযানে পাওয়া সব তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

তবে আটক পুরুষরা দাবি করে, এখানে সেলুন লেখা দেখে চুল কাটার জন্য তারা এসেছে। ভেতরে ঢোকার পর পুলিশ আসে। তাদের কিছু বলার সুযোগ দেয়নি।

গুলশানের উন্নতমানের অনেক সেলুন রয়েছে। সেগুলোতে না গিয়ে স্পা সেন্টারে কেন, জানতে চাইলে তারা বলে, তারা জানতো না এখানে বডি ম্যাসাজ বা অনৈতিক কাজ হয়।

লাইফ স্টাইল স্পা সেন্টারে কর্মরত আটক নারীরা দাবি করে, এখানে কোনও অনৈতিক কাজ হয় না। নারী-পুরুষ সবাই এখানে আসে। এখনে বডি ম্যাসাজ, ফেসিয়াল, বডি স্ক্রাপ করা হয়। তারা এখানে সবসময় থাকে।

লাইফ স্টাইলে স্পা সেন্টারের মালিক কে, জানতে চাইলে তারা বলে, মালিক কে তারা জানে না। এখানে কোনও ম্যানেজারও নেই। তারাই সবসময় থাকে।

আটকদের একজন জানায়, সে ৭ দিন ধরে এই স্পা সেন্টারে কাজ করে। অন্য একজনের মাধ্যমে সে এখানে এসেছে।