এদিকে ডাকসুর সভা ডাকার এখতিয়ার জিএসের। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেন ভিপি নুর। তার অভিযোগ, জিএসের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল, কিন্তু তিনি না থাকায় পরিপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডাকসুর সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে রাব্বানীর পদে থাকার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানা গেছে।
ভিপি নুর বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘জিএস প্রায় ১১ দিন ডাকসুতে আসছেন না। তিনি না থাকায় ডাকসুতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আগে তাকে পদত্যাগের আহ্বানও জানিয়েছি। কিন্তু তিনি ডাকসুতেও আসছেন না, আবার কোনও সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার ডাকসুর সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে জিএসের পদের বিষয়ে আমাদের অবস্থান কী তা আলোচনা হবে।’
এর আগে, গোলাম রাব্বানীর কাছে বেশ কয়েকদিন ‘ডাকসুতে কবে আসবেন’ জানতে চাইলে তিনি প্রতিবারই জানিয়েছেন ‘কাল আসবেন’। তবে তিনি আর আসেননি।
ডাকসুর সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘জিএস সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় তার কার্যালয়ে এসেছিলেন। এরপর তিনি আর ডাকসুতে আসেননি।’
এ বিষয়ে ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘কাল (বৃহস্পতিবার) ডাকসুর সভা হওয়ার কথা রয়েছে। আবাসন সংকট, গণপরিবহন, সান্ধ্যকালীন কোর্স ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে।’ সভায় ডাকসুর জিএস আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক, তার আসার সম্ভাবনাই বেশি।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।