নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডাকসু ভিপি বলেন, এসব আন্দোলনে চালানো হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি। বিচার না হওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে মন্তব্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘যখন মানুষ ফুঁসে উঠছে, ছাত্ররা ফুঁসে উঠছে তখন দুই চারটি ঘটনার বিচার হচ্ছে’। আবরার হত্যার ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ও বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে যদি ছাত্ররা ফুঁসে না উঠতো এই ঘটনার কিছুই হতো না’। তবে গ্রেফতারকৃতদের শেষ পর্যন্ত বিচার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।
ফেসবুকের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে দাবি করে ডাকসু ভিপি নুর বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ক্তি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার জের ধরে আবরারকে ডেকে নিয়ে বেদম প্রহার করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আবরারের মৃত্যু হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ ডেকে নিয়ে মারতে পারে এমন আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু লিখতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (রাব্বি)-কে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কিছু নেতাকর্মী রবিবার ( ৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দিনগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আরও খবর:
আবরার হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা
যেভাবে আবরারকে হত্যা
ফোনে ডেকে নেওয়ার পর লাশ মিললো বুয়েট শিক্ষার্থীর
আবরার হত্যার বিচার চেয়ে সরব ফেসবুক
হলের করিডরে আবরারের নিঃশব্দ আহাজারি! (ফটোস্টোরি)
‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে’
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ
আবরার হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের নিন্দা, তদন্ত কমিটি
বুয়েটে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তারা, সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি (ভিডিও)