দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আসামি ওবায়দুল খানকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক রায় পড়া শুরু করেন ৩টা ৪ মিনিটে। রায় পড়া শেষ হয় ৩টা ৪৫ মিনিটে। রায় ঘোষণার সময় রিশার মা ও তার ছোট বোন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ অক্টোবর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। তবে ওই দিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তী রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে পোশাক বানাতে দেয় রিশা। ওই টেইলার্সের রসিদে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান (২৯) রিশাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে স্কুলে যাওয়ার পথে রিশাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে সে। তার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিশাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল খান।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত শেষে ওবায়দুল খানকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আলী হোসেন। এর পরের বছর ১৭ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের সেই ছাত্রী মারা গেছে
রিশা হত্যার দায় স্বীকার ওবায়দুলের
রিশার ঘাতক ওবায়দুলের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় শত শত শিক্ষার্থী