বুয়েটে ‘টর্চার’ আতঙ্ক কাটলেও সতর্ক সাধারণ শিক্ষার্থীরা

5fe70336ea0f738b13e7b90717e09e97-5da12675d756c

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হলগুলোতে অনেকদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের ‍উপর চলতো নানা রকমের নিপীড়ন। এতোদিন তাদের কাছে ছিলো নিরব আতঙ্ক এবং ক্ষোভের। সে ভয় কেটে গেলেও হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকায় এখনও সতর্ক রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১২অক্টোবর) কয়েকজন আন্দোলনকারীর কাছে জানতে চাইলে এসব কথা জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, র‌্যাংগিয়ের নামে এসব নির্যাতন চলে আসলেও এতো দিন কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারেনি। যা ধীরে ধীরে জামানো ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। অবশেষে আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সে পুরনো ক্ষোভ বিস্ফোরিত হয়।

তবে এখনও শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি তাদের। আন্দোলনকারী মাসুম বিল্লাহ জানান, ক্যাম্পাসে এখনও ছাত্রলীগে নেতাকর্মী থাকায় তারা শঙ্কায় রয়েছেন ।’

এদিকে, সংগঠন ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধে ক্যাম্পাসে মৌলবাদী শক্তির উত্থান হবে মনে  করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। শিক্ষার্থীরাও ব্যাপারটি নিয়ে সতর্ক। তারা বলছেন, ‘টর্চারের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও মৌলবাদী রাজনীতির বিষয়ে সতর্ক থাকছেন।’

বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাকিল আনোয়ার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে এখনও আমরা সতর্ক যেন কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন মাথা ছাড়া দিয়ে সক্রিয় হতে না পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, গত কয়েক বছর রোজ কেউ না কেউ নিযাতনের শিকার হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই কার ডাক পড়বে সেই শঙ্কায় থাকত হলের ছেলেরা। দীর্ঘদিন পর শুক্রবার রাতে সেই ভয় ছিল না। কিন্তু থমথমে একটা পরিবেশ এখনও আছে। রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সংগঠনগুলো অন্য কিছু ঘটায় কিনা সেই শঙ্কা আছে।

এদিকে, টানা চারদিন আন্দোলন চালিয়ে আসলেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তারা। ইতোমধ্যে হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে কার্যক্রম শুরু করেছেন। অছাত্রদের রবিবার দুপুর ১২টার আগে হল ছাড়া নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে, আন্দোলনকারীরা ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।