খাদ্য দূষণকারীকে দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি

খাদ্য দূষণকারীদের দুর্নীতিবাজ হিসাবে চিহ্নিত করে কঠোর আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বিষ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য: বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা বক্তারা এই দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, ‘বিষ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। যা মানুষকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেবে। সরকার, নাগরিক সমাজ ও সর্বসাধারণের সচেতনতাই পারে এই পরিস্থিতিকে পাল্টে দিতে।’

তারা আরও বলেন, ‘একজন ভোক্তা ও ক্রেতা হিসেবে প্রথমত আমরা খাদ্যটাকে নিরাপদ দেখতে চাই। নিরাপদ মানে ক্ষতিকর ও বিপদজনক রাসায়নিকমুক্ত খাদ্য। এ অবস্থায় খাদ্যের উৎস ও উৎপাদনস্থলকেই প্রথমত নিরাপদ করা জরুরি। তারপর থাকছে খাদ্য সরবরাহ, পরিবহন, বিপণন, মজুতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিবেশন। জমির মাটি থেকে খাবার থালা অবধি খাদ্য নিরাপদ হওয়া জরুরি। খাবার নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষাটাও জরুরি। আমরা যেমন খাবারে কোনও ভেজাল চাই না, আবার ফরমালিন-কার্বাইড বা ক্ষতিকর কোনও উপাদান খাবারে মিশে থাকুক তাও চাই না।’

অনুষ্ঠানে যে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো- খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি মেশানোর সঙ্গে জড়িত এবং রাসায়নিক দ্রব্যাদিযুক্ত ও ভেজাল খাদ্য বিক্রয়কারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড প্রদান; বিষ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারকে খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশ্রণের উৎসমূল থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ রাসায়নিক পদার্থের আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী এবং লেবেল ছাড়া বা মিথ্যা লেবেলের অধীন কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ।’

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিলে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, গবেষক ও লেখক পাভেল পার্থ, ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. খালেদ শওকত আলীসহ আরও অনেকে।