শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীর সোয়াত মাঠে গারো সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান ‘ঢাকা ওয়ানগালা- ২০১৯’ উদযাপনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গারো সম্প্রদায় বড় ত্যাগ স্বীকার করেছিল। স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ধারণায় বিশ্বাস রেখে তারা স্বাধীকার আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিল।’
শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা চান এ দেশের সব মানুষ সাংবিধানিক অধিকার পাক। আর সে লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা সরকার চায় না। যদি কেউ তা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে সরকার।’ কোনও জাতি-গোষ্ঠী নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি পালনে কোনোভাবে যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সে জন্য প্রশাসনকে নজর রাখতে বলেন মন্ত্রী।
ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুকুল চিছামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, কারিতাস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক থিওফিল নওরেক, গারো ওয়ানগালার নকমা (সমাজ প্রধান) সাগর রিছিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগরণী মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডেরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ খান, ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক মশিউর রহমান খানসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে গারোসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় করেন। উৎসবে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। পূজা-অর্চনা, আলোচনা, নিজস্ব ভাষায় গান আর নাচে দর্শনার্থীদের মাতিয়ে রাখেন গারো শিল্পীরা। উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্টল বসানো হয়। গারো সংস্কৃতি ও আবেগজড়িত পোশাক, খাবার, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য স্থান পায় এসব দোকানে।
দেখুন ভিডিও...