আমদানি করা মাছের খাবারে শূকরের উপাদান আছে কিনা, পরীক্ষার নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টদেশে আমদানি করা মাছের খাবারে শূকরের উপাদান (বাইপ্রোডাক্ট) আছে কিনা, তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। চট্টগ্রাম কাস্টমসে থাকা এসব খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে তা পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। অন্যদিকে মাছের খাবার আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমাদের দেশে শূকরের কোনও উপাদান আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ কারণে আপিল আদালত সব চালানের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বোভাইন (চতুষ্পদ পশুর উচ্ছিষ্ট) ও পশ্চাইন (শূকরের উচ্ছিষ্ট) আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন কোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন মাছের খাবারের নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। পরে ওই চিঠির বৈধতা চালেঞ্জ করে ও পণ্য খালাসের নির্দেশনা চেয়ে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট তার আদেশে মাত্র একটি কোম্পানির পণ্য খালাসের আদেশ দেন।

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিজ উদ্যোগে আমদানি করা পণ্য ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। ওই পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসব খাবারে শূকরের উপজাত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় সবক’টি কোম্পানির আমদানি করা পণ্যের নমুনা ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।