মানবপাচারের অভিযোগে বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপারভাইজার সাময়িক বরখাস্ত


রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপারভাইজার কাজী গিয়াস উদ্দীনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেওয়া এক আদেশে তার অসদাচরণের কথা উল্লেখ করা হলেও তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, গিয়াস উদ্দীনের ডিউটি যেখানে ছিল তিনি সেখানে ছিলেন না। তিনি মানবপাচারে সহায়তার জন্য চেক-ইন কাউন্টারে ছিলেন। পরে তার চেক-ইন করানো চার যাত্রীকে অফলোড করা হয়। তাদের পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

বরখাস্তের অফিস আদেশে বলা হয়, গ্রাউন্ড সার্ভিস সুপারভাইজার কাজী গিয়াস উদ্দীনের (পি-৩৬৫৪১) সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাগেজ সার্ভিস ইউনিটে ডিউটি ছিল। তবে তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ভোর ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে যাত্রী চেক-ইনের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় বিজি-০৮২ ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন হচ্ছিলো। পরে গিয়াস উদ্দীনের চেক-ইন করা চার যাত্রীকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সদস্যরা অফলােড করে আটক করেন।

আদেশে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় বিমানের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। গিয়াস উদ্দীনের আচরণ বিমানের চাকরিবিধির পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল। তাকে অসদাচরণের কারণে বিমান কর্মচারী প্রবিধানমালার ৫৮ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত থাকা সময়ে তাকে বর্তমান ঠিকানায় অবস্থান করতে হবে। বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করলে বিমান কর্তৃপক্ষকে তা জাাতে হবে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তাকে প্রশাসন সেল ডিএ শাখায় দৈনিক হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।