খাদ্যে ভেজালকারীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (ফাইল ছবি)

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয়, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।’

রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’ আয়োজিত ‘খাদ্য নিরাপত্তায় সুশাসন ও বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুমন মেহেদীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক কার্যক্রম চলছে। দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা, বিশেষত খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থান নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার সংকল্পবদ্ধ। সরকার ইতোমধ্যে কৃষির উন্নয়নে শস্য বহুমুখীকরণ, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি এবং পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা ও বাস্তব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষায় বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার মনিটরিং ও অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে জরিমানা ও দণ্ড প্রদান করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যে ভেজালের উৎস চিহ্নিতকরণ তথা বাজার ও বিপণন বিষয়ে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা ভেজাল খাদ্য প্রস্তুত ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সাধারণ ভোক্তাদের প্রতারণা করতে না পারে, সেজন্য ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা থাকা দরকার। নাগরিক হিসেবে যেমন আমাদের কিছু অধিকার রয়েছে, তেমনি ব্যক্তি হিসেবেও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। পণ্যের সঠিক মান, মূল্য তালিকা, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে পণ্য ক্রয় করাও ভোক্তার দায়িত্ব।’ খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবারসহ সর্বস্তরের জনগণকে একযোগে কাজ কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান, ডিএনসিআরপির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, ডিএফআইডি বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমুখ।