আশরাফুল-আকলিমা দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে এখন ঢামেকের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
আশরাফুল বলেন, আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়েছিলাম। আল্লাহ আমাকে সন্তান দিয়েছেন। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাকে স্থানীয় এক গাইনি চিকিৎসককে দেখাই। বেশ কিছু দিন যাওয়ার পর চিকিৎসক জানান, আমাদের একসঙ্গে চার সন্তান হবে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করাই। ২৭ অক্টোবর ভোরে সিজারের মাধ্যমে সন্তানরা ভূমিষ্ঠ হয়।
জন্মের পর সন্তানদের নিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় আশরাফুলকে। তিনি বলেন, ‘ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই চিকিৎসকেরা জানান, সন্তানদের যেন দ্রুত নবজাতক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ভর্তি করাই। তবে ঢামেকের নবজাতক বিভাগে সিট খালি না থাকায় তাদের দ্রুত যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাই। সেখানে দুই দিন রাখার পর জানতে পারি বিল হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। পরে ঋণ নিয়ে ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে সন্তানদের ঢামেকে নিয়ে আসি। পরদিন হাসপাতালের এক সহকারী পরিচালকের কাছে গিয়ে সন্তানদের বাঁচানোর অনুরোধ জানাই। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে বাচ্চাদের সেখানে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দেন।’
ঢামেকের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নবজাতকদের বাবা আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু তখন সিট ফাঁকা ছিল না। পরে সিট ফাঁকা হলে নবজাতকদের ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে এনআইসিইউ থেকে বের না করা পর্যন্ত তাদের আশঙ্কামুক্ত বলা যায় না।’
এদিকে তিন সন্তানের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন আশরাফুল। তিনি সন্তানদের বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন।