দেশে প্রথম মরণোত্তর চক্ষুদানকারী ইনামুল হকের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী ১১ নভেম্বর

সমাজসেবী এআরএম ইনামুল হক

বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিক্ষক, কৃতী প্রকৌশলী ও বাংলাদেশে প্রথম মরণোত্তর চক্ষুদানকারী এআরএম ইনামুল হকের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ১১ নভেম্বর সোমবার। মৃত্যুর তিন বছর আগে তিনি উইল করে তার চোখ দান করে যান। তার একটি কর্নিয়া সংযোজন করা হয় সাপ্তাহিক ২০০০-এর সম্পাদক শাহাদত চৌধুরীর চোখে ও অপরটি সংযোজন করা হয় রমজান আলী নামক এক ব্যক্তির চোখে।

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইনামুল হক ১৯২১ সালের ১ অক্টোবর পশ্চিম বাংলার হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া রাজখোলা পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬ সালে অত্যন্ত  কৃতিত্বের সঙ্গে যন্ত্রকৌশলে প্রকৌশল ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ ভাগের পর বাংলাদেশে চলে আসেন এবং তৎকালীন আহসানুল্লাহ প্রকৌশল কলেজে (বর্তমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকতায় যোগ দেন। পরবর্তী জীবনে তিনি বিভিন্ন সংস্থায় সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকালেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। কেবল নিজ পেশা প্রকৌশল বিদ্যাতেই নয়, আরও অনেক বিষয়েও ইনামুল হক ছিলেন বিদগ্ধ পণ্ডিত। তিনি ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং ধানমন্ডি ক্লাব প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, (বর্তমানে এ ক্লাবটি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নামে পরিচিত)। বাংলাসহ চারটি ভাষায় তার ছিল সমান পারদর্শিতা। ভাষা ও শিক্ষার ব্যাপারেও তার ছিল সমান আগ্রহ।

ইনামুল হকের মরণোত্তর চক্ষুদান ছিল তার সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কারধর্মী অসংখ্য প্রচেষ্টারই চূড়ান্ত নিদর্শন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।