এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল করিম।
আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল জানান, ‘নবম ওয়েজ বোর্ডের প্রকাশিত গেজেটের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিসভার তিনটি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো হলো সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, চাকরি ছাড়ার সময় কোনও প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালের প্রতি বছরের জন্য এক মাসের গ্র্যাচুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজ বোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য। অথচ গেজেটে আছে, সংবাদকর্মীরা দুটি গ্র্যাচুইটি পাবেন। এই সুপারিশ গেজেটে থাকা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পঞ্চম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে করা মামলার রায়ে এসেছে সংবাদকর্মীদের আয়কর দেবেন সংবাদপত্রের মালিক। তাই মন্ত্রিসভার ওই সুপারিশ আইনে সমর্থন করে না। এমনকি কাউকে একবার কোনও অধিকার দেওয়া হলে আইন অনুসারে তা খর্ব করা যায় না।’
প্রসঙ্গত, ওয়েজ বোর্ড সক্রান্ত গেজেটে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সুপারিশমালা সাংঘর্ষিক দাবি করে গত ৭ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এ রিট দায়ের করেন। রিটে শ্রম বিধিমালায় গণমাধ্যমের ব্যাখ্যায় ইলেকট্রনিক মিডিয়াও আছে দাবি করে তাদের ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।