মেয়র বলেন, আমার বাবা সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ নগরবাসীকে দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। তার সেই রক্তের উত্তরাধিকার হিসেবে নগরবাসীর কল্যাণে আমিও নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় তিনি কামরাঙ্গীরচরের ৩টি ওয়ার্ডে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকা এখন উন্নয়নের স্রোতধারায় বদলে যাওয়া এক নতুন নগরী। আগামীতেও ঢাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত হলে আরও একটি কামরাঙ্গীরচর উপহার দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত ৫টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানানো হলে মেয়র সেগুলোসহ আরও যেসব সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কোন সন্ত্রাসী বা গুন্ডাকে ভোট না দিয়ে মাদকমুক্ত সুন্দর সমাজগঠনে অঙ্গীকারকারীদের ভোট দিতে হবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আবুল হোসেন সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সোলায়মান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়া ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম কমিউনিটি সেন্টার কাম মার্কেটে এক হাজার ৬০০ জন অতিথির আসন ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি কার পার্কিং, ব্যায়ামাগার, কমিশনার কার্যালয়, লাইব্রেরি, লিফট এবং ৭৬টি দোকানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।