গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই দিনই মতিঝিলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালানোর পাশাপাশি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর সাত দেহরক্ষীসহ আটক হন যুবলীগ নেতা ও ‘টেন্ডার কিং’ খ্যাত জি কে শামীম। আর গত ৬ অক্টোবর গ্রেফতার হন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। গ্রেফতারের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
অস্ত্র আইনে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় রাজধানীর রমনা থানায়। এই মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
এদিকে যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গুলশানের অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এছাড়া রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাব। গত ২৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে অভিযুক্ত সাত দেহরক্ষী হলেন দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।