সড়ক পরিবহন আইন আবারও বিবেচনা করা দরকার: সৈয়দ আবুল মকসুদ

২১১১১১১১

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পুনর্বিবেচনা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হো‌সেন মা‌নিক মিয়া হ‌লে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং সড়কে শৃঙ্খলা, যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং শ্রমিকের সুরক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

আবুল মকসুদ বলেন, ‘খুব তাড়াহুড়া করে আইনটি করা হয়েছে। ছাত্ররা যখন হট্টগোল করছিল, তার পরেই আইনটি তাড়াহুড়া করে সরকার দেখিয়ে দিলো যে-একটা কাজের কাজ করে দিলাম, এখন বোঝো তোমরা। কাজেই এই আইনটিকে আবার পুনর্বিবেচনা করা দরকার। যা আছে আইন হয়ে গেছে, বিধিমালাও হয়নি। এই আইনে যদি কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে, যেগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকারকে বলবো- আবারও যেন এটাকে বিচার বিবেচনা করে সর্বজন গ্রহণযোগ্য একটি আইন করা হয়, সেখানে কেউ যেন ভয়ের মধ্যে না থাকে, আতঙ্কের মধ্যে না থাকে, মানুষ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে- সেই জিনিসগুলো যেন হয়। কত কিছু সংশোধন করা হয়েছে, কনস্টিটিউশন পর্যন্ত সংশোধন করা যায়, তাহলে এই আইন কেন সংশোধন করা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩ কোটি, সাড়ে ৩ কোটি মানুষ প্রত্যেকদিন যাতায়াত করছেন যেখানে, সেখানে কেউ যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে। পরিবহনখাত অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত, অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সাজা দিয়ে অপরাধ দূর হয় না, মানুষ হঠাৎ করেই অপরাধ করে। আমাদের পরিবাহনখাতে ব্যাপকভাবে নৈরাজ্য চলছে। সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে বিভাগীয় অনুমতির প্রয়োজন হয়, কিন্তু চালকদের ক্ষেত্রে পারবে। এটা কোনও কথা, এরকম নিয়ম একটি রাষ্ট্রের ভেতরে হয় নাকি কোনদিন। কাজেই রাষ্ট্রে কোনও রকমের বৈষম্যমূলক কিছু হোক, এটা আমরা কেউই চাই না।’        

এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালিকুজ্জামান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ওসমান আলী প্রমুখ।