এফআর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতি: দুদকের মামলায় ৩ জনের জামিন

সুপ্রিম কোর্টবনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতি ও ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জমির ইজারাগ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (এস এম এইচ ফারুক), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) ও সাবেক উপ-পরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলীকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর আগে হাইকোর্ট তাদের আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে করা আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ তাদের জামিনের আদেশ দেন।
আদালতে আসামিদের আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর এফআর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতি ও ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় ওই তিন আসামির জামিন স্থগিত করে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
গত ২৬ জুন নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৬ থেকে ২৩ তলা এফআর টাওয়ার নির্মাণের অভিযোগে মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।
এর একটি মামলার আসামি হলেন— এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও বিসিএসআইআর সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান।
মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের অতিরিক্ত তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৭টি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ২৮ মার্চ দুপুরে এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ২৭ জন মারা যান। এতে আহত হন ৭৩ জন।