জাহাজভাঙা শিল্পে দুর্ঘটনার তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট

জাহাজভাঙা শিল্পের বিভিন্ন দুর্ঘটনা বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তি ও সংশোধনমূলক পদক্ষেপ এবং আহত-নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপের বিস্তারিত তথ্য আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে এসব তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আদালতে বেলা’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।

এরআগে, ২০০৮ সালে বেলার এক রিট মামলায় হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে দফায় দফায় নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে সংশ্লিষ্টদের অবহেলাজনিত কারণে রায় পরবর্তী সময় থেকে জাহাজ ভাঙতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৯৪ জন শ্রমিক এবংপঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ৮৬ জন শ্রমিক। যার ধারাবাহিকতায় বেলার পক্ষ থেকে আদালতে সম্পূরক আবেদন করা হয়।


আরও পড়ুন:
'জাহাজভাঙা শিল্পে ৯ বছরে নিহত ১৬১ শ্রমিক'
জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ৩৩ ভাগই অ্যাজবেসটোসিসে আক্রান্ত: সমীক্ষা প্রতিবেদন