‘ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের ঘাটতি তৈরি করেছেন’

বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলামপেঁয়াজের দাম বাড়ানোর নেপথ্যে ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের ঘাটতি কে তৈরি করলো?  ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এই ঘাটতি তৈরি করেছেন। এটি দিবালকের মতো পরিষ্কার। আমি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, ব্যবসার ধরনটাই এমন। সারা বছর তো ব্যবসার সুযোগ আসে না। সুযোগ এসেছে, কাজে লাগিয়েছেন।’     

শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের আয়োজনে ‘পেঁয়াজের এত ঝাঁজ?’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে শুরু হয় বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক এই আয়োজন।

দেশে পেঁয়াজের ঘাটতির সুযোগ নেই উল্লেখ করে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার মিডিয়া রিপোর্টের ফায়দা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে কখনোই পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে না। ট্যারিফ কমিশনের তথ্যমতে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর আমাদের উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। তার আগের বছর উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০ শতাংশ পচে যায়। যার ঘাটতি দাঁড়ায় সাড়ে সাত লাখ টন। এই ঘাটতি মেটাতেই আমরা আমদানি করি। পরিবহন খরচ কমসহ সবদিক বিবেচনা করে আমরা ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আমদানি করি। অক্টোবরের পরেই ভারতে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করে। আমাদের দেশে শুরু করে ডিসেম্বরে। মাত্র এক মাসের ব্যবধান এখানে। তাহলে ঘাটতি আসলো কোত্থেকে?’

সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকিতে আরও অংশ নেন– রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তদার মো. শামসুর রহমান, কাওরানবাজার আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্কুল অব বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী রাজীব।
রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখা গেছে এ আয়োজন। ইউল্যাবের সহযোগিতায় এ বৈঠকি অনুষ্ঠিত হয়েছে।