প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে নিখুঁতভাবে কাজ করা যায়। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের দিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচার বিভাগও। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে বদলে যাচ্ছে বিচার বিভাগের কাজের ধরন। কাজের গতিও বেড়েছে। বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হারও। আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনতে সক্ষম হইনি। ই-ফাইলিং ব্যবস্থা এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যায়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের জন্য দ্রুত ও সময়োপযোগী বিচার পদ্ধতি দিতে পারবো।’
আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘সরকার ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) আইনজীবীদের পেশাগত কাজে গতি আনবে বলে বিশ্বাস করি। এই উদ্যোগ সময়োপযোগী। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আইনজীবীরা সঠিকভাবে তাদের চেম্বার ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবেন। এই পদ্ধতি উচ্চ আদালতে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজ করবে।
ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম. রেজাউল করীম। অনুষ্ঠানে সমিতির সম্পাদক এএম মাহবুবউদ্দিন খোকন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমিতির সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ।