তিনি জানান, বুধবার ( ২০ নভেম্বর) দারুসসালাম থানার মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজের নিচে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন ও ১৯টি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়। এসব ভিজিটিং কার্ডে সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা; রাজস্ব পরিদর্শক, ঢাকা ওয়াসা, পিপিআই রাজস্ব জোন-৩ লেখা রয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, সাকিব গত ৩১ অক্টোবর নিজেকে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় পরিচয় দিয়ে এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কল করেন। এ সময় সাকিবকে (নিজেকে) ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। পরে আরেকটি ফোন থেকে সাকিব পরিচয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চাকরির বিষয়ে কথা বলেন এবং ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির রেফারেন্স দেন। এভাবে প্রতারক সাকিব নিজের চাকরির জন্য এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা জয় গত ১২ নভেম্বর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ডিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সাকিব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। এডিসি খন্দকার লেনিন জানান, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সাকিব নিজেকে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক ও মিরপুর বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিতেন। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় দারুসসালাম থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।