তাজরীন হত্যাকাণ্ডের ৭ম বার্ষিকীতে ক্ষতিপূরণের দাবি

তাজরীন হত্যাকাণ্ডের সপ্তম বার্ষিকীতে আহত-নিহত পরিবারের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বেশ কয়েকটি পোশাক শ্রমিক সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধ‌ন থেকে তারা এ দাবি জানান। মানববন্ধনটি যৌথভাবে আ‌য়োজন করে গ্রিনবাংলা ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিহত হয়েছিলেন, আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। সে সময় প্রধানমন্ত্রী নিহত ও আহত শ্রমিকদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ‌সেই সঙ্গে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছিলেন। তবে কিছু শ্রমিককে নামমাত্র সহযোগিতা করা হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

শ্রমিক-কর্মচারীরা আরও অভিযোগ করেন, দুই শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী বিভিন্নভাবে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা এখনও ক্ষতিপূরণ ও সহযোগিতা পাননি। অনেক পরিবার উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দিনযাপন করছেন।

বক্তারা তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহত পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন, গ্রিনবাংলা ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক মো. বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মো. মাহতাব উদ্দিন শহীদ, তৃণমূল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি শামীম খান প্রমুখ।