শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি আয়োজিত মওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মাওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।
আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতিতে গান্ধীর ধারা ছিল অহিংস, ভাসানীর রাজনীতি ছিল বল প্রয়োগের। তাকে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের সময় নেতিবাচকভাবে উত্থাপনের জন্য ভাসানীকে টাইম পত্রিকা ‘প্রফেট অব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু মওলানা ভাসানী যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তা কাউকে পুড়িয়ে মারবার নয়, তা ছিল মুক্তির আলো।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ ভিনদেশি রাষ্ট্রের হুকুমে আমাদের নীতি নির্ধারণ হয়। নরেদ্র মোদি যখন শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষের আয়োজনের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হন, তখন প্রশ্ন জাগে আমরা কোন জায়গায় থাকি। মওলানা ভাসানী সত্যি কথা বলা শিখিয়েছেন, সেই সত্যের শক্তির ওপর ভরসা করেই আমাদের দেশকেএগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ কোনও একক ব্যক্তির অবদান নয়। বাংলার মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যারা ভূমিকা রেখেছেন, সন্দেহাতীত ভাবেই মাওলানা ভাসানী তাদের মাঝে অন্যতম। ভোটের রাজনীতি বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি দিয়েই তিনি মানুষকে সংগঠিত করেছেন। জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করেই তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গেছেন।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘খুব বিখ্যাত ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ বলা। সমগ্র জাতিকে তিনি ধমক দিতে পারেন, শাসন করতে পারেন।
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা ভাসানীর একান্ত সহচর সৈয়দ ইরফানুল বারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতনসহ অনেকে।