প্রকাশ দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা এর আগে দুই দফায় ধর্মঘট পালন করেছি। তখন আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু একটি দাবিও পূরণ হয়নি। তাই আমরা আবারও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। ধর্মঘটে সারাদেশের সব ধরনের নৌযান বন্ধ থাকবে।’
নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোটের এই নেতা বলেন, ‘নৌযান মালিক ও সরকার বারবার আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে মেনে নেন, কিন্তু বাস্তবায়ন করেন না। গত জুলাইয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করার পর সরকার ও মালিকদের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হলো, দাবি মানা হবে। কিন্তু তারা ওয়াদা ভঙ্গ করেছে, তাই ধর্মঘটে বাধ্য হয়েছি। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো না।’
যেসব নৌযান বিকালে বিভিন্ন গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছে, সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছানোর পর নোঙ্র করা থাকবে বলেও জানান তিনি।
আন্দোলনকারীরা জানান, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১১ দফা উপস্থাপন করা হলেও তাদের মূল দাবি ২০১৬ সালে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দিতে হবে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তারা তিনবার ধর্মঘটে গেছেন। প্রতিবারই শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো হয়। পরে মালিকরা দাবি মেনে নেননি।’
তিনি বলেন, ‘এবারও ধর্মঘট বন্ধ করতে বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সভা হয়। সেখানে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক ছাড়া অন্য নৌযানের মালিক প্রতিনিধিরা আসেননি। কোনও সমাধান হয়নি। আমরা ২৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি। হঠাৎ করে ধর্মঘটে আসিনি।’
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাত্রীবাহীসহ সব নৌযানের মালিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনও ধরনের বৈঠক হবে না। কোনও আশ্বাসও শ্রমিকরা মানবেন না।