বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সাফায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবেদন সাপেক্ষে জামিন বিষয়ে শুনানির আদেশ দেন আদালত।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক আওলাদ হোসেন সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে কায়সার কামালের ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করেন। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গোলাম মোস্তফা খানসহ অনেকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় স্কয়ার হাসপাতালের সামনে প্রতিপক্ষ ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান ও তার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় লোক জড়ো হয়ে রাস্তায় চলাচল বিঘ্নিত হলে তাদের কলাবাগান থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করলে রাতে কায়সার কামালকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই কায়সার কামালকে গ্রেফতার দেখিয়ে আতিকুর রহমানের স্ত্রীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘মামলায় অভিযোগ করা হয়, ব্যারিস্টার আতিকুর রহমানের অনুমতি ছাড়া তার স্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবী কায়সার কামাল যোগাযোগ রাখতেন এবং তাকে গাড়িতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে মামলার বাদী আতিকুরের ‘মৌন ক্ষতি’ ও ‘সংসারের ক্ষতি’ হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কলাবাগান থানায় কায়সার কামালের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।”