হোটেল ওলিওতে বিস্ফোরণ

জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল (ফাইল ছবি) রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অবস্থান নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ।

গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে এ সংশ্লিষ্ট থানার ভিআর শাখায় এ অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর বিচারক মামলাটি বিচারিক কার্যক্রমের জন্য সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতের সংশ্লিষ্ট  থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাফায়েত আহম্মেদ এসব বিষয়  নিশ্চিত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগপত্রে ১৪ আসামির মধ্যে তাজুল ইসলাম নামে এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক একটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) শিশু আদালতে পাঠানো হয়েছে।’ মামলায় সব আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি জানান।

অভিযোগপত্রে আসামিরা হলো– আকরাম হোসেন খান নিলয় ওরফে স্লেড উইলসন (২৪), নাজমুল হাসান ওরফে মামুন (২১), আবুল কাশেম ফকির ওরফে আবু মুসাব (২২), আব্দুল্লাহ আইচান কবিরাজ ওরফে রফিক (৪২), তারেক মোহাম্মদ ওরফে আদনান (২২), কামরুল ইসলাম শাকিল ওরফে হারিকেন ওরফে রোবট ও ওরফে তানজিম (২৫), লুলু সরদার ওরফে সহিদ ওরফে মিস্ত্রি (৩০), তাজরীন খানম শুভ (২৯), সাদিয়া হোসনা লাকী (৪৬), আবু তোরাব খান (৫৬), তানভির ইয়াসিন করিম ওরফে হিটম্যান ওরফে জিন (৩২),  হুমায়রা জাকির নাবিলা, নব মুসলিম আব্দুল্লাহ (হিন্দু থাকাকালীন নাম ছিল রণবীর কান্তি দাশ রনি) (৩২) ও তাজুল ইসলাম ওরফে ছোটন ওরফে মোহাম্মদ ওরফে ফাহিম (১৭)।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ৩০০ মিটার দূরে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা। অভিযানের একপর্যায়ে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল থেকে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বিস্ফোরণে হোটেলের চতুর্থ তলার রাস্তার দিকের অংশের দেয়াল ও গ্রিল ধসে নিচে পড়ে। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ ইমরুল সায়েদ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।