বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘‘আমাদের নিষ্পাপ শিশুরা ভর্তি বাণিজ্যের মতো অনৈতিক পাপকে স্পর্শ করুক তা আমরা চাই না। তাদের শিক্ষাজীবন দুর্নীতি দিয়ে শুরু হতে পারে না। নিয়ম-নীতির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে দুদকের ‘শুন্য সহিষ্ণুতার’ নীতি অব্যাহত রাখা হবে।’’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোচিং বাণিজ্য, নোট, গাইড বাণিজ্য বন্ধে দুদক আরও সক্রিয় হবে। এসবের মাধ্যমে যে বা যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের আসবাবপত্র ও বালিশ কেনাকাটায় দুর্নীতির ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রেফতারের বিষয় আমার জানা থাকার কথা নয়। এটা তদন্ত কর্মকর্তার বিষয়। তদন্ত কর্মকর্তা যদি মনে করে মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামি গ্রেফতার করা দরকার, তাহলে তিনি আসামি গ্রেফতার করতেই পারেন। তবে আমার যতটুকু মনে পড়ে, রূপপুর বালিশকাণ্ডে ৩১ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। মামলাগুলো এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তদন্তে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আসামি হিসেবে চার্জশিটভুক্ত করা হবে।’
রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আপনারাতো দেখছেন অতি দ্রুত অনুসন্ধান করে এসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি দমনে দুদক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মেগা প্রকল্পে কমিশনের নজরদারি আছে।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ মহামান্য আদালতের এখতিয়ারাধীন। এ বিষয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আদালতের আদেশ শিরোধার্য।’