কারা ডিআইজি বজলুর রশীদের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল

বজলুর রশীদঅবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতে আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
রাজধানীর সিদ্বেশ্বরীতে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনেন বজলুর রশিদ। এই টাকার কোনও বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এমনকি এই ফ্ল্যাট কেনা-সংক্রান্ত কোনও তথ্য তার আয়কর নথিতেও ছিল না। এ অবস্থায় জ্ঞাত আয়ের উৎস অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে রজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে রাজশাহীতে ছিলেন তিনি। জেল সুপার হিসেবে বরগুনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি এবং জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন।