কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

কুয়েতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিরা‘দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে, অর্থ সম্মান দুই-ই মিলে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুয়েতে পালিত হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে কুয়েতের মিসিলা এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে ছিল এই আয়োজন। এতে সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম। বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিটেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, ‘বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রফতানি করতে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাণী পাঠ করেন ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাসের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পড়ে শোনান কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খাঁন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আবদুল মোমেনের বাণী পড়েছেন সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাকির হুসেন মজুমদার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের বাণী পাঠ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হুসেন খান। এছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. সেলিম রেজার বাণী পড়ে শুনিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।

কুয়েতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরাবর্তমানে কুয়েতে জাল ভিসা, আকামা জটিলতা ও কর্মহীন কয়েক শতাধিক প্রবাসীর মানবেতর জীবনযাপনের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পায়। কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আকামা-ভিসা সমস্যা সমাধানে দূতাবাস কাজ করছে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, অবৈধ ভিসা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন কুয়েত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের মন্তব্য, কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অভিবাসন ইস্যু। এক্ষেত্রে প্রবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।