অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদদুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘ক্যাসিনো কাণ্ড নিয়ে অনেক কথা হয়। ক্যাসিনো কর্মকাণ্ড কিন্তু দুদক আইনে তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদক আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ। আমরা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।’ বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি দমনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অন্য কোনও সংস্থা নয়, দুর্নীতির তথ্যের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে গণমাধ্যম। আমরা আমাদের এই কর্মপ্রক্রিয়া থামাবো না। এটা চলবে। দুর্নীতিবাজদের যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের আওতায় আনতে পারছি ততক্ষণ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের তাড়া করবো।’ দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পেছনে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। এই দুর্নীতির মাত্রা যতটা কমিয়ে আনা যায় সেটাই হবে মুজিববর্ষে আমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাজ।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, মানুষ গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ বিশ্বাস করে। এমনকি শিশুরা সংবাদপত্র থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। সংবাদপত্র, টেলিভিশন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আমার মনে হয় গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব দেশের প্রতি। কোনও সংবাদ যেন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করে সেদিকটাও মাথায় রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘গত প্রায় চার বছরে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা পিছপা হইনি। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি, এ সময়ে কারও দ্বারা প্রভাবিত হইনি। যা করেছি নিজের বিবেক-বিবেচনাবোধ থেকেই করেছি।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে যদি আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনও দোষ-ত্রুটি খুঁজে পান তা নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করবেন। জনগণকে জানাবেন। কারণ, দুদক জনগণের প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক ছাড়া দুদকের অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয়। আপনারা আমাদের শত্রু নয়; বরং সহযোগী বা সহযাত্রী। আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হলেও আমরা আপনাদের শত্রু ভাবি না। বরং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে সমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করি।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, দুদকের প্রশিক্ষণ অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল ও রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র‍্যাক) মহাসচিব আদিত্য আরাফাত।