সোমবার (৬ জানুয়ারি) ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
ভিসি বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়, দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা মর্মাহত। তার বাবা ভেতরে আছে, তবে আমরা সবাই তার পাশে আছি। তাকে মানসিকভাবে শক্ত ও সমর্থ করে তোলাই আমাদের প্রধান কাজ।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তার অভিভাবকত্ব যেহেতু আমাদের, তাই তার সর্বোত্তম দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সবটুকু তার জন্য নিবেদিত।
তিনি জানান, পুলিশ এ ঘটনায় তৎপর আছে। দ্রুততম সময়ে দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।
ধর্ষণের ঘটনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ঢাবি ভিসি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই মামলা করতো। এরপরেও যেটুকু সহায়তা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সহায়তা দেবে।
তবে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সিহাব উদ্দিন জানান, এখনো মামলা হয়নি। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সবাই হাসপাতালে রয়েছেন। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হাসপাতালে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।