ঢাকায় জাল টাকা তৈরি করছে বিদেশি চক্র

জাল টাকা (ফাইল ছবি)ঢাকায় জাল টাকা চক্রের বিদেশি একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে। চক্রটি বাংলাদেশি মুদ্রা ও ডলার জাল করে প্রতারণা করতো।   শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এই তথ্য জানান।

ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ বলেন, ‘মালির এক নাগরিককে ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মগবাজার এক লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির কেমিক্যালসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তি জাল টাকা তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল। সে নিজেকে মালির নাগরিক বলে দাবি করেছে। তার নাম বাকাউ কামারা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাকাউ কামারা বাংলাদেশিদের কাছে জাল মুদ্রা বিক্রি করতো। মূলত সে ফেসবুকের মাধ্যমে ক্রেতা খুঁজতো ও জাল মুদ্রা বিক্রি করে প্রতারণা করতো। সাইবার ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।’

পুলিশের কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার এই ব্যক্তির পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি। সে দাবি করেছে, তার পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে। তবে, এ বিষয়ে সে থানায় কোনও জিডি করেনি। এই চক্রের সঙ্গে আরও সদস্য রয়েছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।

আফ্রিকার কয়েকটি দেশের নাগরিক বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা করে আসছে। এরা কখনও লটারির প্রতারণা করে, কখনও ভুয়া পুরস্কার পাওয়ার তথ্য দিয়ে মানেুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। 

জাল টাকা তৈরির চক্রের সঙ্গে বিদেশি বেশ কয়েকজন জড়িত। তারা ভ্রমণ ও ব্যবসার ভিসায় এসে এসব প্রতারণা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতার বাকাউ কামারা তিন মাস ধরে বাংলাদেশে আসে বলে দাবি করেছে। তবে, পুলিশের ধারণা সে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে আছে। তারা ফেসবুকের মাধ্যমে জাল টাকা বিক্রি করে আসছিল। পুলিশের এই কর্মকর্তা  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এই চক্রের বিষয়ে অভিযোগ পাচ্ছিলাম। তারা বিভিন্ন জনকে জাল টাকা ক্রয়ের অফার দিতো। এরপর আমরা নজরদারি বৃদ্ধি করি। বাকাউ কামারা’র অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে মগবাজারের তাজ হোটেল থেকে গ্রেফতার করি।’ গ্রেফতার ব্যক্তি চট্টগ্রাম ও ঢাকা মিলিয়ে থাকতো বলেও তিনি জানান।   

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নোট এক হাজার টাকা বেশি জাল করে এই চক্র। জাল টাকা কম দামে বিক্রি করার জন্য বাংলাদেশিদের খুঁজতো ফেসবুকে। তারা জাল লাখ টাকা অর্ধেক দামে ছেড়ে দিতো।

এ বিষয়ে রমনা মডেল থানায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে চক্রের জড়িত অন্য সদস্যরা ইতোমধ্যে পালিয়েছে। তাদের শনাক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।