ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বাধা নেই

হাইকোর্টঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট না নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার  (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনও বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস সাদিক। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন না করার নির্দেশনা চেয়ে এবং ইভিএম-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ রিটে বিবাদী করা হয়েছিল।
রিটে বলা হয়েছিল, ইভিএম-সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি, এবং আরপিও ধারা ২৬-এ অনুযায়ী ইভিএম ব্যবহার বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ কেবল জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করা যায়। ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএম জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৬টিতে ইভিএম চালু ছিল, কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি।
রিটে আরও বলা হয়েছিল, এছাড়া সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্যান্য আইনে জনগণের সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার বিধান আছে, কিন্তু যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই-বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন পাস করতে জনগণের গণভোটও নেওয়া হয়নি। ওই আইন সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া গণতন্ত্র, সংবিধানের মূল ভিত্তি, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ইভিএম অসাংবিধানিক বলেও রিটে বলা হয়েছিল।