ফরিদপুরে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল স্থগিত

হাইকোর্টপ্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ লঙ্ঘন করে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে ফরিদপুরে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আইন ভঙ্গ করায় প্রকাশিত ফলাফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা ও মাহবুবুর রহমান দুলাল।
প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।
কিন্তু রিটকারীদের দাবি, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে ফরিদপুরের শারমিন আক্তার সেতু নামের এক নিয়োগ প্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।