এদিন সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট। সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অন্যদিকে নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় প্রধান সড়কগুলো চলে যায় মূলত রিকশার দখলে। মিরপুর রোড, সাত মসজিদ রোড, নিউমার্কেট এলাকা, নীলক্ষেত, চাঁনখারপুল, শাহবাগ, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মানিক মিয়া এভিনিউ ঘুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা পাওয়া যায়। দুপুরের দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি লিংক রোড ও আগারগাঁও ৬০ ফিট রাস্তায় ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় কিশোরদের। হাতিরঝিলেরও কয়েকটি জায়গায় ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠে শিশু-কিশোররা। এছাড়া গুলশান ১-এর সিগন্যালেও চলে ক্রিকেট উৎসব।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে ভোটের সময় যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাস, বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, ট্রাক, টেম্পু, অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যানবাহন ব্যবহার করতে পারছেন। এক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে গণপরিবহন না থাকায় রিকশা চলছে বাধাহীনভাবে। যেসব সড়কে রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে সেগুলোও চলছে দেদার। কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, ভোটের দিনে রিকশার চাহিদা বেশি থাকায় অন্য এলাকা থেকে রিকশা নিয়ে তারা আয় করেন। নির্বাচনের দিনের আয় অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি বলেও জানান তারা।
তবে পরিবহন সংকট থাকায় দুর্ভোগে পড়েন কেউ কেউ। গাবতলী থেকে দুটি সুটকেস নিয়ে রিকশায় করে আসছিলেন জাফর আহমেদ। তিনি গত রাতে রাজশাহী থেকে রওনা দিয়ে সকালে এসে পৌঁছান বলে জানান। সেখান থেকে আজিমপুরে যাওয়ার জন্য কোনও গাড়ি পাননি। তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে রওনা হয়েছেন তিনি।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম