রবিবার সচিবালয় ঘেরাওয়ের আল্টিমেটাম সাংবাদিকদের

সিটি নির্বাচনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধন




সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হেনস্থাকারীদের আগামী শনিবারের মধ্যে গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে রবিবার সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। একইসঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করা হবে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ মঞ্চ ছাড়া হবে না।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েসন (ক্র্যাব) কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া এসব কথা বলেন।

আবুল খায়ের ভূইয়া বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় অনেক নেতা ও তাদের পরিবার সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হতেন। বাঁচার জন্য কি না করেছেন তারা? আর এখন ক্ষমতা পেয়ে সেই সাংবাদিকদের ওপরই নির্যাতন চালাচ্ছেন তারা। এই দিন বেশি দিন থাকবে না। পুলিশের ওপর হামলা হওয়ার কারণে একজন নবনির্বাচিত কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালেন অথচ সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের ধরছেন না, এটা ঠিক হচ্ছে না। অবিলম্বে নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করুন। এখন একটি বা দুটি ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেফতার করছেন না, কাল যখন আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি হবে সেদিন দাবি উঠবে স্বাধীনতার পর থেকে ভোট পর্যন্ত যত নির্যাতন হয়েছে তার সবগুলোকে ধরতে হবে। সেদিন কী করবেন, বুঝে নেন আইজিপি ও কমিশনার সাহেব।’
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ডিআরইউয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত, আতঙ্কিত। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সাংবাদিকরা সোচ্চার হয়েছে, ডিআরইউও আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এসময় অবিলম্বে হামলা ও নির্যাতনকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে আহ্বান জানান তিনি।

ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে যারা দালালি করছেন, যারা মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত কমিউনিটির সাথে গাদ্দারি করছেন। এসব ছাড়ুন, দালালি বন্ধ করুন। আপনাদেরও পরিণতি খারাপ হবে। সেদিন কাউকে পাশে পাবেন না। হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে ঢাকা শহর অচল করে দেওয়া হবে।


ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, দুই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরও হামলার শিকার সাংবাদিক সুমনকে হাসপাতালে দেখতে যাননি। এ কেমন মেয়র? এমন মেয়রকে চায় না ঢাকাবাসী। মেয়র এখন ফুল নিতে ব্যস্ত। ফুল নেবেন তবে আহত সাংবাদিকদেরও দেখতে যেতে হবে।


ডিআরইউয়ের সাবেক সেক্রেটারি মোরসালিন নোমানী বলেন, কমিশনার খোকনসহ  তার সাঙ্গপাঙ্গ হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় খোকনের কমিশনার পদ স্থগিত করুক এটাই আশা করবো। আমরা সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে চাই। সেই সুযোগটাই চাই। হামলা মামলা চাই না।  

মানববন্ধন কর্মসূচিতে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, মাহবুব আলম লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত কাওসার, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোকছুদার রহমান, ডিইউজের সাবেক জনকল্যাণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ ডিআরইউ, ক্র্যাব ও ডিইউজের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বক্তব্য রাখেন।