পুনর্নির্বাচনের দাবি বিএনপির মামাবাড়ির আবদার: ওবায়দুল কাদের

ধানমন্ডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ওবায়দুল কাদেরসিটি নির্বাচনে কোনও কারচুপি হয়নি বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পুনরায় নির্বাচন দাবি বিএনপির মামাবাড়ির আবদার। বিএনপি জানে, এবারের নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে। এখন তারা বলার জন্য বলছে, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে। কারণ ইলেকশনে কারচুপি জালিয়াতি করার কোনও সুযোগ নেই। যদি ইলেকশনে কোনও জালিয়াতি বা কারচুপি হতো, তাহলে ভোটের টার্ন আউট অনেক বেশি হতে পারতো। তবে টার্ন আউট ৩০ শতাংশেরও নিচে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হার উল্লেখ করে আরও বলেন, কারচুপি জালিয়াতি হলে ভোটের হার কম হওয়ার কথা না। কারচুপি করে ইভিএমে জেতার কোনও বিষয় থাকে না। কারচুপি যাতে না হয়, সেজন্যই আধুনিক প্রযুক্তি। কারচুপি রোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা।

এসময় অসমাপ্ত জেলাগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসমাপ্ত জেলা সম্মেলনগুলো নিয়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২৯টি জেলার কাজ ক‌রে‌ছি। আগামী ২৮ তারিখ রাঙামা‌টির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, চলতি মাসের ১২ ও ১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর নিজ এলাকা কোটালিপাড়া (১২ ফেব্রুয়ারি) এবং টুঙ্গিপাড়ার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। 

চট্টগ্রামের সম্মেলন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সেজন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ এবং মহানগর সম্মেলন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে হবে।
বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে আওয়ামী লীগ তাদের কি ডিস্টার্ব করেছে? আওয়ামী লীগ কোথাও কোনও সমস্যা বা প্রতিবন্ধকতা, বাধা দেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি করেনি। আওয়ামী লীগ কেন? সেখানে একটা অনুমতি নিতে হয়। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম না, আমরাও পুলিশের পারমিশন নিয়ে‌ছি। আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেওয়া ছাড়া কোনও সমস্যা আমি দেখছি না। সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের আছে। সরকার যেমন করবে অন্যান্য বিরোধী দলও করবে।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তৃণমূলে সাংগঠনিক কর্মসূচিসহ সমসাময়িক ইস্যুতে আলোচনা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলন, আ খ ম জাহাঙ্গীর, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আকতার পপি, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।