আদালতে রাসেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার সামসুল হক রেজা। আর গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হারুনর রশিদ।
এরআগে, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাসেলের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে এবং তার কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এরপর রাসেলকে ৫ লাখ টাকার চেক ও তার কৃত্রিম পা সংযোজন করে নিজেদের দায় সারতে চাইছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের এক বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেলের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেলের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পা হারানো রাসেল সরকারের বাবার নাম শফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়িতে। ঢাকার আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিং এলাকায় তার বাসা।
এ ঘটনায় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে রাসেলের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট দায়ের করেন। পরে আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন।